Posts

জায়নামাজে ছবি থাকলে কি নামায হবে ???

Image
আমরা প্রায় দেখি জায়নামাজ কাবার ছবি,  মসজিদের ছবি, দরজা, জানালার ছবি কিংবা বিভিন্ন নকশার দৃশ্য এগুলো থাকা যুক্তিক মনে করেন আপনি!   জায়নামাযে এসব দৃশ্য নামাজি ব্যক্তির মনোযোগ শক্তি কেড়ে নেয় বা অন্যমনস্ক হয়ে যায়। এতে নামাজে ব্যাঘাত ঘটে। ওলামায় কেরাম বলেছেন এটা মাকরুহ বা অপছন্দনীয়।  এছাড়াও কাবার ছবিযুক্ত জায়নামাজায় অনেক সময় আমরা পা দিয়ে পদদলিত করি কিংবা বিছিয়ে বসি ইত্যাদি জায়েয নয়।  কেননা, এগুলো  দ্বারা কাবার অবমাননার পর্যায় পড়ে।    এর সত্যতা কতটুকু,  হিশাম ইবনে উরউয়ার বর্ণনার আছে,  নবী করিম (সঃ) বলেছেন, "আমি নামাযের দিকে তাকাচ্ছিলাম আর ভয় পেতেছিলাম, এ চাদর / জায়নাজ আমাকে গোনাহগার বানাবে " [ সহীহ বুখারীর ৩৮৩)   হযরত আনাস ( রা) বর্ণনা করেন, হজরত আয়েশা (রা) এর একটি পর্দা ছিল। তিনি তা দ্বারা তার ঘরের এক পাশ ঢেকে রেখেছিলেন। নবী করীম (সঃ) বললেন, " তোমার এ পর্দা আমার থেকে দূর কর। কেননা এর নকশাগুল নামাজের ভেতর বারবার আমার সামনে পড়ে। " [ সহীহ বুখারীর ৫৯৫৯)   সুতরাং পবিত্র কাবাসহ মসজিদের ছবিযুক্ত জায়নামাজ ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।  https://youtu.be/YXgpF2VEB8c

পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের ' ফরজ ' নামাযগুলো "রাকাত" গুলো সমান নয় কেন???

Image
"নামাজ " ফারসি শব্দ। যার শাব্দিক অর্থ, রহমত, দোয়া, প্রার্থনা ইত্যাদি। যার আরবি শব্দ "সালাত "।  ফরজ নামাজ পাঁচ ওয়াক্ত কিন্তু প্রতি ওয়াক্তে নামাজের রাকাতের সংখ্যা কম বা বেশি। ফজরের ফরজ নামাজ দুই রাকাত, যোহরের চার, আছরের চার, মাগরিবের তিন আবার এশার চার রাকআত নামাজ ফরজ৷ একেক ঘটনা ও কারণের ভিত্তিতে নামাজের রাকআতের সংখ্যায় ভিন্নতা দেখা যায়।  1). ফজরের নামাজ: আদম আ. যখন জান্নাতের নিষিদ্ধকৃত ফল খেয়ে ফেললেন তখন আল্লাহ'তা আলা তাকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন৷ আর তখন পৃথীবি ছিল অন্ধকার। আদম আ. জান্নাতে কখনো অন্ধকার দেখেন নি তাই তিনি দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন আর আল্লাহর কাছে সাহায্য চাচ্ছিলেন৷ আল্লাহ আদম আ. এর দোয়া কবুল করেন। তখন আদম আ. দেখলেন আস্তে আস্তে আলো ফুটে উঠছে। মানে সুবহে সাদিক হচ্ছে৷ তখন তিনি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে দু'রাকাত নামাজ আদায় করেন যা পরবর্তীতে উম্মতে মুহাম্মদের উপর ফরজ করা হয়।   এছাড়াও ফজর নামাজ হচ্ছে মুমিন মুসলমানদের আলাদা করার নামাজ। আল্লাহকে বিশ্বাসী ব্যাতিত কেওই এত সকালে উঠে নামাজ আদায় করবে না, আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করবে না। এজন্য ফজরের নামাজকে খুবই ...

গর্ভবতী মায়ের উপর চন্দ্র গ্রহন কিংবা সূর্য গ্রহন প্রভাব কতটুকু সত্য

Image
আমাদের সমাজে মহিলাদের মধ্যে চন্দ্র ও সূর্য গ্রহনের সময় প্রায় একটা কথা শুনা যায় যে,  চন্দ্র গ্রহন ও সূর্য গ্রহনকালিন (নির্দিষ্ট কিছু সময়) গর্ভবতী মা কিছু কাটলে, ছিড়লে পেটের সন্তানের অমঙ্গল হয়। অনেকটা এরকম, সন্তানের ঠোঁট /কান কাটা হয়ে জন্মাবে, কিংবা কোনো কিছু ভাঙ্গলে বা বাকা করলে এই সন্তান বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম নেবে।  এ রকম কথার কোনো ভিত্তি নেই, এটা মূলত কুসংস্কার। কোরআন হাদিস এর সাথে এর সম্পর্ক নেই।  কেউ যদি চন্দ্র কিংবা সূর্য গ্রহন দেখে তার উচিত আল্লাহ কে স্মরন করা।   রাসূল (সাঃ) বলেছেম ;  " চন্দ্র এবং সূর্য এ দুটি আল্লাহর নিদর্শনের অন্যতম। কার ও জন্ম বা মৃত্যূর কারনে এদের গ্রহন হয় না। তাই তোমরা যখন প্রথম দেখতে পাও তখন আল্লাহ কে স্মরন কর। "  [ বুখারী ৪৮১৮ ইফা]   অন্য বর্ণনায় রাসূল ( সাঃ) বলেছেন ;   " চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণ কারও জন্ম বা মৃত্যুর কারণে লাগে না বরং এ দুটো আল্লাহর নিদর্শন, যা দ্বারা আল্লাহ তার বান্দা কে সতর্ক করেন। অতএব তোমরা যখন গ্রহন দেখ, আল্লাহর জিকিরে মসগুল হও যতক্ষন তা আলোকিত না হয়ে যায়।  [ সহীহ মুসলিম ১৯৭২ ইফা ]

পৃথিবীর সব দেশের পতাকা আয়তকার হলেও নেপালের পতাকা ত্রিভুজকার কেন ???

Image
নেপালের পতাকা ত্রিভুজাকৃতি হওয়ার পেছনে নিম্নলিখিত কারণ ও ফ্যাক্টর গুলি কাজ করছে :   (১) বহু কাল ধরেই নেপাল একটি হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে খ্যাত। যেকোনো রকম হিন্দু মন্দিরেই দেখবেন, পতাকা সাধারণত ত্রিভুজাকৃতি হয়ে থাকে। তাই শুধু নেপাল ই নয়, বহু হিন্দু রাজ্য ও সংঘও এই ধরনের পতাকা ব্যবহার করেন।   (২) দীর্ঘ সময় ধরে নেপাল নিজেকে বিদেশি অনুপ্রবেশকারী দের থেকে নিজেকে একরকম বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল বলা চলে। অন্য কোনো দেশকে নেপালে ঘাঁটি স্থাপন বা সংস্কৃতি চর্চার সুযোগই দেইনি। ফলে পতাকার বিশেষ পরিবর্তন হয়নই।   (৩) বর্তমান কালে বেশ কিছু গবেষণা প্রমাণ করেছে, নেপালের পতাকা বিশ্বের সবচেয়ে unique, এবং পাশাপাশি গাণিতিকভাবে ভিন্ন। শুধু আকার নয়, তার সাথে অন্যান্য গাণিতিক সূত্র ও রয়েছে।  (৪) দেশের মধ্যে ও দেশের বাইরে নেপালের পতাকা সমান সমাদর পায়। নেপালি সংস্কৃতি তার পতাকাকে সম্মান, মর্যাদা ও শ্রদ্ধা করে।  // আরও কিছু কথা //   নেপালের পতাকা বিশ্বের একমাত্র ত্রিভুজাকৃতির পতাকা। নেপালের পতাকা দুটি ত্রিভুজাকৃতি খন্ড নিয়ে তৈরি। এই দুটি খন্ড হিমালয়ান পাহাড়শ্রেণি কে সূচিত করে। এই দুটি যথাক্রমে বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্...

ফিলিস্তিনীদের অস্ত্র থাকা সত্ত্বেও কেন তারা পাথর দিয়ে যুদ্ধ করে

Image
*এই লেখাটি যারা ফিলিস্তিন, ইজরায়েল, হামাস, পিএলও, গাযা, পশ্চিমতীর সম্পর্কে কম জানেন, তাদের জন্য সংক্ষিপ্ত ওভারভিউ।  এটি পড়লে মোটামুটি একটা ধারণা পাবেন।*  ইজরায়েলে যারা শাসন করে তারা মূলত ইউরোপীয় ইহুদী। এদেরকে বলা হয় আশকেনাজি জুইশ। এরা ইউরোপ থেকে এসে ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডে গেঁড়ে বসা ইহুদী। কিছু আরব ইহুদী আছে, যারা আগে থেকেই ফিলিস্তিনে ছিল।  আর কিছু অন্যান্য আরব দেশ থেকে এসেছে। এদেরকে বলা হয় মিজরাহি জুউশ। হিস্পানিক কিছু জুইশ আছে। তবে এলিট শ্রেণী হচ্ছে- আশকেনাজি জুইশ। এরাই মূলত জার্মান আর ফ্রান্স থেকে বিতাড়িত হয়ে ফিলিস্তিনীদের জমি দখল করেছে। এরা অসম্ভব উগ্র, জেনোফোবিক এবং ধণী। ইজরায়েলের এলিট শ্রেণী হচ্ছে এরা। এদের কালচারের সাথে আরব ইহুদীদের কালচার কোনোভাবেই মিলেনা।   ইহুদী ধর্ম অনুযায়ী মেসিয়াহ (মুসলমানদের কাছে দাজ্জাল) না আসা পর্যন্ত ইহুদীদের জন্য আলাদা দেশ গঠন করা পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ। এই কারণেই অন্যান্য দেশের অর্থোডক্স ইহুদী এবং ইহুদী ধর্মগুরুগণ ইজরায়েলের বিরোধী। কারণ এই রাষ্ট্র ইহুদী ধর্মমতেও নিষিদ্ধ। ধর্মীয় দেশ দাবী করলেও ইজরায়েল মূলত কোনো ইহুদী দেশ নয়, এটা একটা জায়...

মেয়েরা কথায়, কথায় কাঁদে কেন ??

Image
হ্যাঁ, মহিলারা বেশী কাঁদে। সাধারণভাবে আমরা বলে থাকি মেয়েদের মন নরম, মায়ায় ভরা, ভালবাসায় টইটুম্বুর হৃদয় এবং বড্ড অভিমানী। পুরুষেদের সেই তুলনায় অনেক শক্তপোক্ত মন। কাঁদে কম। সমাজই ওদের এইভাবে তৈরি করেছে। ছেলেদের কাঁদতে নেই আর মেয়েরা যত ভেউভেউ করে কাঁদবে তত ভালো, নরম এবং সরল মেয়ে ।  দেখা গেছে বছরে মেয়েরা ৩০ - ৬৪ বার কাঁদে এবং ছেলেরা ৬ - ১৭ বার। একটা সমীক্ষা বলছে মেয়েরা এক নাগাড়ে মোটামুটি ৬ মিনিট কাঁদে আর ছেলেরা কাঁদে ২ থেকে ৩মিনিট। এখন ভাবা যেতে পারে মেয়েরা এত কাঁদে কেন ? উফফফ..ওদের মাথায় জলের ড্রাম কে বসিয়ে রেখেছে ? সুযোগ পেলেই কান্না শুরু।   এত কান্নার কারণ হলো একধরণের হরমোন যার নাম প্রোল্যাকটিন। পিটিউট্যারি গ্ল্যান্ড থেকে এই হরমোনটা নিঃসৃত হয়। ইনিই চোখে জল আনার জন্য দায়ী। এই প্রোল্যাকটিন হোরমোন প্রতিটি মানুষের শরীরেই আছে।  বয়ঃসন্ধির আগে অব্দি ছেলে মেয়ে সবার মধ্যে এই প্রোল্যাকটিন লেভেল সমান থাকে। তাই ছোট বেলায় ছেলে মেয়ে সবাই কাঁদে। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে ছেলেদের শরীরে টেস্টোস্টেরন নামে একটা হরমোন বাড়তে থাকে যা ছেলেদের কান্না কমিয়ে দেয়। আবার বৃদ্ধ হলে টেস্টোস...

মঙ্গল গ্রহে অক্সিজেন কিংবা পানি নেই। তবু কেন মানুষ সেখানে বসবাসের চিন্তা করছে

Image
এটি হল মঙ্গলগ্রহের উত্তরাঞ্চলের করোলেভ গহ্বর। সাদা যে পদার্থটি দেখা যাচ্ছে তা হল জলের বরফ। গহ্বরটির ব্যাস প্রায় ৮২ কিমি, বরফের আচ্ছাদিত অংশটির ব্যাস প্রায় ৬০ কিমি এবং গভীরতায় প্রায় ২ কিমি। এতে যে পরিমাণ জল বরফ হিসেবে রয়েছে তার পরিমাণ কানাডার গ্রেট বিয়ার হ্রদের সাথে তুলনীয়।   এতেই শেষ নয়। মঙ্গলগ্রহেও পৃথিবীর মত দুই মেরুতে প্রচুর পরিমাণ বরফ রয়েছে। উত্তরমেরুতে রয়েছে বেশ বড় জলের বরফের আচ্ছাদন। দক্ষিণ মেরুতেও কঠিন কার্বন-ডাই-অক্সাইডের আচ্ছাদনের নীচে সঞ্চিত রয়েছে জলের বরফ। এমনকি এই অঞ্চলে তরল জলের সন্ধানও মিলেছে।   মঙ্গলগ্রহের উত্তর মেরু   মঙ্গলগ্রহের দক্ষিণ মেরু   তবে মঙ্গলগ্রহে অক্সিজেন প্রায় নেই বললেই চলে। এমনিতেই সেখানকার বায়ুমণ্ডল অত্যন্ত পাতলা, তার ওপর তার প্রায় ৯৬% কার্বন-ডাই-অক্সাইড। অক্সিজেন আছে মাত্র ০.১৩%। তবে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করারও উপায় রয়েছে। দুটি পদ্ধতি রয়েছে। ১) বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড সংগ্রহ করে তাকে তড়িৎবিশ্লেষণ করলে উৎপন্ন হবে কার্বন-মনোক্সাইড এবং অক্সিজেন। নাসা এই বিক্রিয়াটি মঙ্গলগ্রহে করে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই 'পার্সিভিয়ারেন্স' মহাকাশযানে করে একটি ...