পৃথিবীর সব দেশের পতাকা আয়তকার হলেও নেপালের পতাকা ত্রিভুজকার কেন ???
নেপালের পতাকা ত্রিভুজাকৃতি হওয়ার পেছনে নিম্নলিখিত কারণ ও ফ্যাক্টর গুলি কাজ করছে :
(১) বহু কাল ধরেই নেপাল একটি হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে খ্যাত। যেকোনো রকম হিন্দু মন্দিরেই দেখবেন, পতাকা সাধারণত ত্রিভুজাকৃতি হয়ে থাকে। তাই শুধু নেপাল ই নয়, বহু হিন্দু রাজ্য ও সংঘও এই ধরনের পতাকা ব্যবহার করেন।
(২) দীর্ঘ সময় ধরে নেপাল নিজেকে বিদেশি অনুপ্রবেশকারী দের থেকে নিজেকে একরকম বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল বলা চলে। অন্য কোনো দেশকে নেপালে ঘাঁটি স্থাপন বা সংস্কৃতি চর্চার সুযোগই দেইনি। ফলে পতাকার বিশেষ পরিবর্তন হয়নই।
(৩) বর্তমান কালে বেশ কিছু গবেষণা প্রমাণ করেছে, নেপালের পতাকা বিশ্বের সবচেয়ে unique, এবং পাশাপাশি গাণিতিকভাবে ভিন্ন। শুধু আকার নয়, তার সাথে অন্যান্য গাণিতিক সূত্র ও রয়েছে।
(৪) দেশের মধ্যে ও দেশের বাইরে নেপালের পতাকা সমান সমাদর পায়। নেপালি সংস্কৃতি তার পতাকাকে সম্মান, মর্যাদা ও শ্রদ্ধা করে।
// আরও কিছু কথা //
নেপালের পতাকা বিশ্বের একমাত্র ত্রিভুজাকৃতির পতাকা।
নেপালের পতাকা দুটি ত্রিভুজাকৃতি খন্ড নিয়ে তৈরি। এই দুটি খন্ড হিমালয়ান পাহাড়শ্রেণি কে সূচিত করে। এই দুটি যথাক্রমে বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মের বার্তাবহ।
পতাকার হালকা লাল রং (crimson red) রডোডেনড্রন গাছকে সূচিত করে।
এই রং নেপালিদের বীরত্ব ও সাহসিকতার প্রতীক।
পতাকার বাইরে নীল বর্ডার গৌতম বুদ্ধের শান্তি ও ন্যায়ের নীতি অনুসরণ করে।
নীল রং দ্বারা নেপালের স্নিগ্ধ জলধারার মাধুর্য প্রকাশ পায়।
চাঁদ প্রকাশ করে নেপালিদের শান্ত ও ধীরস্থির মতি। এর দ্বারা ছায়া ও নেপালের স্নিগ্ধ, শীতল জলবায়ুর ইঙ্গিত প্রকাশ পায়।
সূর্য নেপালিদের বীরত্ব ও উষ্ণতা প্রকাশ করে। যে বীরত্ব নেপালকে কোনো রকম বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছে। এছাড়া তরাই অঞ্চলের উষ্ণ নরম জলবায়ু সূর্য দ্বারা নির্দেশিত হয়।
পুরোনো পতাকাগুলিতে চন্দ্র ও সূর্যের প্রতিকৃতি
অনেক টা এরকম হত -
১৬ ডিসেম্বর ১৯৬২ সালে নতুন পতাকা আসে ও তা আইনে পাস করে
-
তথ্যসূত্র : Nepal
Comments
Post a Comment