মেয়েরা কথায়, কথায় কাঁদে কেন ??
হ্যাঁ, মহিলারা বেশী কাঁদে। সাধারণভাবে আমরা বলে থাকি মেয়েদের মন নরম, মায়ায় ভরা, ভালবাসায় টইটুম্বুর হৃদয় এবং বড্ড অভিমানী। পুরুষেদের সেই তুলনায় অনেক শক্তপোক্ত মন। কাঁদে কম। সমাজই ওদের এইভাবে তৈরি করেছে। ছেলেদের কাঁদতে নেই আর মেয়েরা যত ভেউভেউ করে কাঁদবে তত ভালো, নরম এবং সরল মেয়ে ।
মানুষের খুলি পরীক্ষা করে দেখা গেছে মেয়েদের অশ্রুবিঁদুর নল ( tear duct ) ছোট এবং অগভীর আর পুরুষদের নলটি লম্বা। মেয়েদের টিয়ার ডাক্ট টি ছোট থাকায় চট করে জল চোখে পৌঁছে যায়।
দেখা গেছে বছরে মেয়েরা ৩০ - ৬৪ বার কাঁদে এবং ছেলেরা ৬ - ১৭ বার। একটা সমীক্ষা বলছে মেয়েরা এক নাগাড়ে মোটামুটি ৬ মিনিট কাঁদে আর ছেলেরা কাঁদে ২ থেকে ৩মিনিট।
এখন ভাবা যেতে পারে মেয়েরা এত কাঁদে কেন ? উফফফ..ওদের মাথায় জলের ড্রাম কে বসিয়ে রেখেছে ? সুযোগ পেলেই কান্না শুরু।
এত কান্নার কারণ হলো একধরণের হরমোন যার নাম প্রোল্যাকটিন। পিটিউট্যারি গ্ল্যান্ড থেকে এই হরমোনটা নিঃসৃত হয়। ইনিই চোখে জল আনার জন্য দায়ী। এই প্রোল্যাকটিন হোরমোন প্রতিটি মানুষের শরীরেই আছে।
বয়ঃসন্ধির আগে অব্দি ছেলে মেয়ে সবার মধ্যে এই প্রোল্যাকটিন লেভেল সমান থাকে। তাই ছোট বেলায় ছেলে মেয়ে সবাই কাঁদে। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে ছেলেদের শরীরে টেস্টোস্টেরন নামে একটা হরমোন বাড়তে থাকে যা ছেলেদের কান্না কমিয়ে দেয়।
আবার বৃদ্ধ হলে টেস্টোস্টেরনের লেভেল কমে আসে তাই অনেক বৃদ্ধকে কাঁদতে দেখা যায়। পুরুষ প্রোস্টেড ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে চোখের জল ফেলাটা বেশী দেখা যায় কারণ ঔষধ দিয়ে ওদের টেস্টোস্টেরন লেভেলটা কমিয়ে দেওয়া হয়।
মানুষের খুলি পরীক্ষা করে দেখা গেছে মেয়েদের অশ্রুবিঁদুর নল ( tear duct ) ছোট এবং অগভীর আর পুরুষদের নলটি লম্বা। মেয়েদের টিয়ার ডাক্ট টি ছোট থাকায় চট করে জল চোখে পৌঁছে যায়।
পুরুষদের জল চোখে পৌঁছাতে দেরী হয়.. ততক্ষণে হয়তো ওরা ইমোশনটাকে দমন করে ফেলতে পারে।
সুতরাং এবার থেকে মেয়েরা কাঁদলে বিরক্ত হবেন না। সবই হরমোন আর টিয়ার ডাক্টের খেলা।
(সংগৃহীত)
Comments
Post a Comment