বাইবেলের ঈশ্বর এবং কোরআনের ঈশ্বরের ( আল্লাহ) মধ্যে মিল ও অমিল কোনোগুলো
অমিল একদম শুরু থেকেই!
বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টের সাথে কুরআনের তুলনা করলে দেখবেন
কুরআনের ঈশ্বর(আল্লাহ্) অতিরিক্ত দয়ালু,ক্ষমাশীল কিন্তু একজন ন্যায় বিচারক যিনি দোষী ব্যক্তিকে তার প্রাপ্ত শাস্তি দেন।
অল্ড টেস্টামেন্টের ঈশ্বর একজন হিংসুট এবং এটা নিয়ে গর্বিত,ন্যায়বিরুদ্ধ,নির্মম ক্ষমতালোভী,রক্তপিপাসু জাতি শুদ্ধিকারক, নারীবিদ্বেষী—- Richard Dawkins(The God Delusion)
উল্লেখ্য,মুসলিম হিসাবে আমার বিশ্বাস তাওরাত,যাবূর এবং ইঞ্জিল বিকৃত হয়ে গিয়েছে [এর জন্য ইহুদিদের কিন্তু দুইবার Divine Punishment এর শিকার হতে হয়েছিল,কিন্তু এ সম্পর্কে অন্যকোন দিন আলোচনা করব ]।
এই বিকৃত তিনটির দুটি, তাওরাত এবং যাবূর মিলে বর্তমান ওল্ড টেস্টামেন্ট
এবং বিকৃত ইঞ্জিল হল বর্তমান নিউ টেস্টামেন্ট।
নিচের এই অংশ ভালোমত পড়ুন,আর আমাকে ভুল বুঝবেন না।
কুরআন এসেছে সেগুলো সংশোধন করতে এবং কিছু নতুন বিধান নিয়ে।মূলত কুরআন এবং বাইবেলের ঈশ্বর একজনই (আল্লাহ্- The One |true| GOD)।
বাইবেলে ঈশ্বরকে যেই রূপে দেখানো হয়েছে সেটার সাথে আমি একদম দ্বিমত পোষণ করছি।
তাহলে চলেন শুরু করি!!
THE ORIGINAL SIN (রঙ্গমঞ্চের উদ্বোধন)
বাইবেলঃ ঈশ্বর আদম-ইভকে সৃষ্টি করেন এবং তাদের The Garden of EDEN এ থাকতে দেন। এবং, সারপেন্ট তথা শয়তান এসে তাদের প্রলুভিত করে এবং প্রথমে ইভকে এবং পরে আদমকে সেই নিষিদ্ধ ফল খাইয়ে দেয়। এবার দেখেন বাইবেলের ঈশ্বরের অভিমত।
বাইবেলের ঈশ্বর প্রথমে শয়তানকে পরে নারীকে এবং শেষে পুরুষকে অভিশাপ দিলেন।
নারীকে তিনি Child Birth এর অভিশাপ দিলেন। অর্থাৎ, বাইবেল অনুযায়ী সন্তান জন্মদান নারীদের প্রতি ঈশ্বরের অভিশাপ!
[ধিক্কার সেই ইহুদি রাবাঈদের উপর!]
Genesis (3:16)
তারপর প্রভু ঈশ্বর নারীকে বললেন,“তুমি যখন গর্ভবতী হবে, আমি সেই দশাটাকে দুঃসহ করে তুলব, তুমি অসহ্য ব্যথায় সন্তানের জন্ম দেবে|
তুমি তোমার স্বামীকে আকুলভাবে কামনা করবে কিন্তু সে তোমার উপরে কর্তৃত্ত্ব করবে |
”
লক্ষ্যণীও, বাইবেলের এই ডিস্ক্রিপশন শুনতে বর্বর হলেও সত্য! বেশ ঘোর লাগানো কথা,
তুমি তোমার স্বামীকে আকুলভাবে কামনা করবে কিন্তু সে তোমার উপরে কর্তৃত্ত্ব করবে |”
০ কুরআনঃ কুরআনে শয়তানের প্ররোচনায় দুই জন ভুল করে এবং দুইজন ক্ষমা চায় এবং অসীল দয়ালু আল্লাহ্ উভয়কেই ক্ষমা করে দেন। কিন্তু,শয়তান আল্লাহ্কে যেই চ্যালেঞ্জ করেছিল আল্লাহ্ সেই চ্যালেঞ্জের উত্তর দিতে মানবজাতিকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন।
বিস্তারিত জানতে, কুরআনের ৭নং সূরার ১১-২৭ আয়াত পর্যন্ত পড়তে পারেন।
Surah Al-A'raf - 11-30
Story of Noah (ঈশ্বর কর্তৃক মানবজাতির ওপর অতর্কিত হামলা)
বাইবেলেঃ নূহ((আঃ) এর জাতিকে একটি বিশাল বন্যা হওয়ার কথা দেখা যায়। কিন্তু,সমস্যা হল বাইবেলে ঈশ্বর মানবজাতিকে এর জন্য কোন সতর্কতা দেননি।
কোন সুযোগই দেননি ক্ষমা চাওয়ার। নূহ(আঃ) এসে চুপচাপ নিজের নৌকা বানিয়ে নিজের পরিবারকে নিয়ে সেটাতে উঠেন।তার পরিবার ব্যতীত কেউ বাঁচেনি।
কুরআনেঃ নূহ(আঃ) দিনরাত তার সময়ের মানুষদের সঠিক পথে আসার আহবান করেন।কয়েকজন ব্যতীত কেউই আসেনা।যারা আসেনা তারা সেই বন্যায় ডুবে মারা যায়।
লক্ষণীও, বাইবেলে পুরো পৃথিবী ডোবার কথা বলা
হয়েছে,কুরআনে পুরো পৃথিবী ডোবার কথা নেই।
David the Adulterer and Killer? [নবীদের ওপর করা মিথ্যাচার]
বাইবেলেঃ দাঊদ(আঃ) [ডেভিড]-কে এক নারীর সাথে ব্যাভিচার করার এবং সেই নারীর স্বামীকে হত্যা করার দোষে অভিযুক্ত করা হয়।এবং, বাইবেলের সেই পরম দয়ালু ঈশ্বর দাঊদ(আঃ) কে শাস্তি না দিয়ে সেই সন্তানকে নষ্ট করে দেন!!!! বাইবেলের ঈশ্বর থেকে ন্যায়বিচার শিখেন!
২-সামুয়েল ১১:
[২] দায়ূদ যখন ছাদে পায়চারি করছিলেন, তখন তিনি ছাদ থেকে এক মহিলাকে স্নান করতে দেখলেন | সেই মহিলা ছিল পরমা সুন্দরী।
[৩] দায়ূদ তাঁর দাসকে ঐ মহিলাটির সম্বন্ধে খোঁজ নিতে পাঠালেন। এক দাস উত্তর দিল, “মেয়েটি ইলিয়ামের কন্যা বত্শেবা |
সে হিত্তীয় ঊরিযের স্ত্রী|”
[৪] দায়ূদ লোক পাঠিয়ে বত্শেবাকে তাঁর কাছে আনলেন। যখন বত্শেবা দায়ূদের কাছে এল, দায়ূদ তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলেন| বত্শেবা স্নান করে বাড়ী ফিরে গেল|
[৫] বত্শেবা গর্ভবতী হল| সে দায়ূদকে জানালো, “আমি গর্ভবতী|”
আরও কিছু ঘটনা পরে—————
[১৫] চিঠিতে দায়ূদ লিখেছিলেন, “ঊরিযকে প্রথম সারির ঠিক সেইখানে দাঁড় করাবে যেখানে লড়াইটা কঠিনতম| তারপর ওকে একা ফেলে পালিয়ে আসবে এবং ওকে যুদ্ধ ক্ষেত্রেই মরতে দেবে|”
বাহ বাহ!!!!! ছিহ ঈশ্বর তার নবীকে এমন কাজ করতে দিবেন?????
তার উপর সেই সন্তান কে নষ্ট করে দেয় ঈশ্বর!
[২৭]
তিনি(বেথশিবা) দায়ূদের পত্নী হলেন এবং দায়ূদের জন্য একটা সন্তানের জন্ম দিলেন| কিন্তু দায়ূদের এই পাপ প্রভু পছন্দ করলেন না|
আরও ঘটনার পর ঈশ্বরের ইচ্ছায় সপ্তম দিনে সেই সন্তান মারা গেল।
কিন্তু, মজার ব্যাপার হল ঈশ্বর নিজের দেয়া বিধান লংঘন করলেন!!
দ্বিতীয় বিবরণ (২৪:১৬);
“সন্তান দোষ করলে পিতামাতার বা পিতামাতা দোষ করলে তার জন্য সন্তানের প্রাণদণ্ড দেওয়া যাবে না|
কোন ব্যক্তিকে কেবল তার নিজের করা অন্যায়ের জন্যই প্রাণদণ্ড দেওয়া যাবে|
কুরআন কি বলে??
কুরআন এই দুইটার একটাও স্বীকার করেনা! কুরআন দাঊদ(আঃ) কে অনেক উচ্চ নীতির মানুষ হিসাবে প্রদর্শন করে।
ইহুদিদের তাদের প্রতি দেয়া বই গুলো পরিবর্তন করার দোষারোপ করে।
QURAN (2:79)
অভিসম্পাত তাদের জন্য যারা স্বহস্তে পুস্তক রচনা করে, যারা বলে যে, এটা আল্লাহর নিকট হতে সমাগত!
এর দ্বারা তারা সামান্য মূল্য অর্জন করছে, তাদের হস্ত যা লিপিবদ্ধ করেছে তার জন্যও অভিসম্পাত ! এবং তারা যা উপার্জন করছে তার জন্যও!
Comments
Post a Comment