জ্ঞান -বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়েছে কেন....
মুসলিমরা জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে। এইটা একদম সত্য, কোন সন্দেহ নেই। এর অনেকগুলি কারন আছে।
বেশিরভাগ মুসলিমের জীবনের একমাত্র লক্ষ্যই হল বেহেশতে যাবে। ভাল কথা!! কিন্তু পৃথিবীতেও যে মাথা উঁচু করে বাঁচার মত বাঁচা যায়, এইটা বেশিরভাগ মুসলমানই জানে না, বোঝেনা, বোঝতে চায়ওনা। অথচ জ্ঞান অর্জন করা ইসলাম ধর্মে ফরজ।
বাংলাদেশের কথা-ই চিন্তা করুন। এইদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হেটার বেশি, কিন্তু হেফাজত নেতা মামুনুলের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। জাপানের ৫০% মানুষ নাস্তিক আর বাংলাদেশে ৯০% মানুষ মুসলিম। কারা বেশি সভ্য? বাংলাদেশের মুসলিমরা নাকি জাপানিজ নাস্তিকরা?
আমার একজন ভাই ছিল যিনি অনেক মনোযোগী ছাত্র ছিলেন। এসএসসিতে উনি গোল্ডেন এ+ পেয়েছিলের। এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে তিনি ৪০ দিনের তাবলীগে গিয়েছিলেন। তাবলীগ থেকে ফিরে এসে উনি পড়ালেখা ছেড়ে দেন। তার পর থেকে উনি বলতে শুরু করেন \"দুনিয়াবি এইসব পড়ালেখা করে কোন লাভ নাই, পরকালই সব\"। মুসলিমরা শুধু পারে সারাদিন ইহুদী-খ্রীষ্টানদের গালি দিতে।তাদের মতে ইহুদী-খ্রীষ্টানরা এতই অবসর যে তারা মুসলিমদের ইমান কিভাবে নষ্ট করা যায় এই ধান্দায় থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হল পৃথিবীর সব উন্নতি ইহুদী খ্রিষ্টানরাই করছে। আরে ভাই,, মুসলিমরা জ্ঞান চর্চা করলে কে কাফের, কে নাস্তিক এইসব নিয়ে গবেষণা করবে কে? সুন্নি, ওয়াহাবি, সালাফি, আহমদি এইসব নতুন নতুন দল বানাবে কে? ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে মুসলিম দেশগুলো উস্তাদ। উন্নতি হবে কি করে।
আজকালকার মুসলিমদের মধ্যে কোন ইউনিটি-ই নেই। এইটা মুসলিমদের পিছিয়ে থাকার একমাত্র কারন। অনেক মুসলিম পরিবারে নারী শিক্ষার গুরুত্ব দেয়া হয় না। মুসলিমরা যেটা পারে সেটা হল তর্কে জেতা। কিন্তু রাসূল (সাঃ) তর্ক নয়, মানুষের মন জিতেছিলেন।
মুসলিমদেরও স্বর্ণযুগ ছিল। অনেক বড় বড় মুসলিম বিজ্ঞানিও আছে। কিন্তু তখনকার মুসলিম আর এখনকার মুসলিমদের মধ্যে রাত দিন তফাত। তখনকার মুসলিমরা রসায়ন, গণিত আর জিয়োগ্রাফী নিয়ে গবেষণা করত, আর এখনকার মুসলিমরা তরমুজের উপর আল্লাহ্\"র নাম খুঁজে বেড়ায়।
মুসলিম দেশগুলো এগিয়ে থাকতে হলে প্রথমে ইউনাইট হতে হবে। সঠিক ইসলাম চর্চা করতে হবে। অশিক্ষিত লোকদের ধর্মীয় নেতা মানা যাবে না।
Comments
Post a Comment