Posts

বিজ্ঞানের এই অগ্রগতিতে মুসলিমরা কেন পিছিয়ে পড়ে যায়

Image
বিধ্বস্ত বাগদাদের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন হালাকু খান। সামনে এত বই দেখে বেশ বিরক্তই হলেন তিনি, খেঁকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “এটা কী? এখানে এত বই কেন?” জবাবে তার দুই শিয়া চাটুকার নাসিরুদ্দিন তুসি ও ইবনে আলকামি বলে ওঠে, “এটা বিশ্বের সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগার।” এটা শুনে হালাকু আরও ক্ষেপে যান, নির্দেশ দেন গ্রন্থাগার পুড়িয়ে ফেলার। তুসি ও ইবনে আলকামি তাকে এ থেকে নিবৃত্ত করতে চাইলে তিনি বিদ্রুপের কন্ঠেই সেদিন বলেছিলেন, “মুসলিমরা কি এত এত বই পড়েও শিক্ষা নেয়নি যে কী করে নিজেদের রাজ্য রক্ষা করতে হয়? যে বই তাদের নিজেদের রক্ষা করতে শেখায়নি, সে বই দিয়ে কী হবে?” এভাবেই কুখ্যাত হালাকু খানের নির্দেষে বাগদাদের সকল লাইব্রেরির কিতাব ছুড়ে ফেলা হয় টাইগ্ৰিস নদীতে। এতো পরিমাণে কিতাব ছিল যে সেসবের কালিতে টাইগ্ৰিস নদীর পানি কালো হয়ে যায়। এমনকি বাগদাদের বিখ্যাত হাউজ অফ উইজডমটিও (বাইতুল হিকমাহ) ধ্বংস করে দেয়। ফলে চিকিৎসা থেকে জ্যোতির্বিদ্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর রচিত অসংখ্য মূল্যবান বই হারিয়ে যায়। পালিয়ে যেতে চেষ্টা করা নাগরিকদেরকে মঙ্গোলরা গণহারে হত্যা করে। এমনকি রেহাই পায়নি নারী ও নিষ্পাপ শিশুরাও। এই...

বাংলাদেশ আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার। এখানে ক্ষেত্রফল না বলে আয়তন বলা হল কেন ???

Image
  আমি বলতে চাইতেছি, বাংলাদেশের ক্ষেত্রফল ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার বলা হল না কেন???  আয়তনের একক তো ঘন, আর যদি বর্গ কিমিই বলতে হয়, তাহলে ক্ষেত্রফল বলি না কেন! প্রথম কথা হলো, এখানে বর্গকিলোমিটার এককটা ঠিকই আছে, সমস্যা 'আয়তন' শব্দটায়। এটা আসলে Area, যেটা দিয়ে বোঝায় দ্বিমাত্রিক একটা ক্ষেত্র কতটুকু জায়গা দখল করে। আমি নির্দ্বিধায় মনে করি, এটাকে ক্ষেত্রফল বলা উচিত, তাহলে বিভ্রান্তিটা আর থাকে না। https://shahalamsreyang.blogspot.com/2021/06/33.html এখানে মূল সমস্যাটা হয়েছে বাংলা অনুবাদের। কেউ কেউ Area শব্দটার অর্থ বাংলা করেছিলেন আয়তন আর কেউ করেছিলেন ক্ষেত্রফল। বাংলা অভিধানে দেখবেন আয়তন আর ক্ষেত্রফল সমার্থক। কিন্তু এখন গণিত আর বিজ্ঞান বইগুলোতে আমরা স্পষ্টভাবেই দুটো শব্দকে আলাদা করে ফেলেছি। আমরা ব্যবহার করি Area-এর বাংলা ক্ষেত্রফল, যেটার একক হলো বর্গমিটার, বর্গসেমি এমন। আর Volume শব্দটার বাংলা হলো আয়তন, যেটা দিয়ে বোঝায় তিন মাত্রায় একটি বস্তু কতটুকু জায়গা দখল করে। এটার একক ঘনমিটার, ঘনসেমি ইত্যাদি। এই যে আমরা বলি, '১৪৭৫৭০ বর্গকিমি', এটা দিয়ে আমরা যেটা মাপি সেটা কিন্তু তিন মাত্রার পরি...

বৃত্ত ১০০, ২০০ কিংবা ৩০০ না ৩৬০ ডিগ্রি কেন???

Image
চলুন তাহলে আমার সম্প্রতি শেখা জ্ঞানটা আপনাদের সাথে একবার কপচিয়ে নিই! বৃত্ত ৩৬০ ডিগ্রি হওয়ার দুটি ব‌্যাখ‌্যা রয়েছে। এর সাথে আবার ব‌্যাবিলিয়নের [2] (ব্যাবিলন ছিল মেসোপটেমিয়ার একটি শহর। এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যাবে ইরাকের বাবিল প্রদেশে। ব্যাবিলন বাগদাদের প্রায় ৮৫ কিলোমিটার (৫৫ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত।) একটা সম্পর্ক আছে। দুটি ব‌্যাখ‌্যার মধ‌্যে প্রথম ব‌্যাখ‌্যাটি বেশ ইন্টারেস্টিং! কেন ইন্টারেস্টিং? কারণ এর সাথে জ‌্যোতির্বিজ্ঞানের একটা সম্পর্ক আছে পুরো লেখাটা পড়ুন।  আমরা তো সবাই MONTH শব্দটা জানি! MONTH মানে মাস! এই MONTH এর MON এর সাথে আবার MOON এর একটা সম্পর্ক আছে। MONTH আর MOON দুইটার ROOT একই। এছাড়া MONDAY বলে একটা ব‌্যাপার আছে। MONDAY -র বাংলা সোমবার। সবাই জানি! কাকতালীয়ভাবে সোমবার-এর সোম মানেও চাঁদ! সর্বোপরি, MONTH এর সাথে MOON এর একটা সম্পর্ক আছে! ব‌্যাবলিয়নিরা খেয়াল করেছিল যে চাঁদ একটা দশা থেকে আবার সেই একই দশায় ফিরে আসতে মোটামুটি (চিকনাচিকনি-ভাবেও হতেও পারে!) ৩০ দিনের মতো লাগে। একই দশা বলতে বুঝাতে চাইছি, একটা পূর্ণিমা থেকে আরেকটা পূর্ণিমায় ফিরে আসতে ৩০ দিন লাগে। তারা এই ...

ইহুদীরা কেন 'গারকাদ' গাছ লাগায়

Image
গারকাদ ( Gharkad tree) গাছ বা ঝাউগাছ ইংরেজি Lycium. আর আরবিতে "গারকাদ " বলে।  হযরত আবু হুরায়ার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহ'র রাসূল(সঃ) বলেছেন "মুসলমানরা ইহুদিদের সাথে যুদ্ধ না করা পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না। মুসলমানরা ইহুদিদের হত্যা করবে। এমনকি পাথর ও গাছের আড়ালে লুকাবে। তখন পাথর ও গাছ বলবে, হে আল্লাহর বান্দা, এই যে আমার পেছনে এক ইহুদি লুকিয়ে আছে, তুমি এসে ওকে হত্যা করো। তবে 'গারকাদ' বলবে না। কেননা, সেটি ইহুদিদের গাছ। " [ সুনানে মুসলিম ২২৩৯ ]  এছাড়াও   বুখারীর ৩৩৯৮,    মুসলিম ৭৫২২ এর প্রমাণ র‍য়েছে।  কিন্তু আল্লাহ কেন ই বা তাদের হত্যা করতে বলেছে ??. তার কারণ হলো তারা তাদের রাসূলদের হত্যা করে ছিল এবং কিতাব বিকৃতি করেছিল তাই তারা অভিশপ্ত। কিয়ামতের পূর্বে দাজ্জাল আসবে একজন ইহুদি থেকেই। এই দাজ্জাল  অলৌকিক ক্ষমতা দেখিয়ে মানুষকে বলবে তাকে আল্লাহ মানতে এবং ইমান হারা মানুষ তা মানবে।  কিন্তু ইমানদাররা ঈমান হারাবে না। তারা অপেক্ষায় থাকবে কখন হযরত ঈসা (আঃ) এবং ইমাম মাহাদি আসবে। হযরত ঈসা (আঃ) এবং ইমাম মাহাদি  এর সমাপ্তি ঘটাবে। এই অবস্থায় ইহুদিরা ' গারকাদ' গাছ...

রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর রওজা মোবারকের উপর জানালা কেন???

Image
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এই পৃথিবীর জন্য আল্লাহ ওয়া তালা রহমত স্বরূপ  এবং   মানবজাতির মুক্তিদাতা হিসেবে।  এবার মূলকথায় আসা যাক,  হযরত ওমর বিন মালেক (রঃ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন নবীজির ইন্তেকালের পর একবার মদিনাবাসী দীর্ঘ দিন অনাবৃষ্টি হয়েছিল। তাই মদিনাবাসী মা আয়েশা সিদ্দিকা( রঃ) এর কাছে গিয়ে বৃষ্টি জন্য দোয়া কামনা করার জন্য বললেন।  মা আয়েশা (রঃ) বলেন, ' হে মদিনাবাসী তোমরা নবীজির রওজা মোবারকের উপর যে খেজুর গাছের ডাল আছে তা সরিয়ে দাও এবং অপেক্ষা কর। মদিনাবাসিরা তাই ই করলেন।  নবীজির রওজা মোবারকের উপর থেকে ডাল সরানোর সাথে সাথে হঠাৎ আকাশ মেঘে ডাকা শুরু করে এবং অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশ থেকে এমন ভাবে ভারীবর্ষণ হতে শুরু করল যে আমাদের পথ চলা কষ্টদায়ক হয়ে পড়লো।  এইরূপ টানা একসপ্তাহ বৃষ্টি হওয়ার পর মদিনাবাসি আবার মা আয়েশা (রঃ) এর কাছে গিয়ে বৃষ্টি বন্ধের জন্য দোয়া চায়। তখন মা আয়েশা (রঃ) বলেন, " নবীজির রওজা মোবারকের উপর খেজুর গাছের পূর্বেবে মতো দিয়ে দাও, বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাবে।  মদীনাবাসী তাই ই করলেন এবং বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেলো।  সুবাহানাল্লাহ।  প্রমান; আবু দাউদ শরিফ -- ১২৫৮,            ইবনে ...

পৃথিবীর অনুরুপ নতুন পৃথিবী

Image
জ্যোতিবিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানে, আমাদের পৃথিবীর মতো নাকি অবিকল এক নতুন পৃথিবী পেয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, সেটি নাকি আমাদের সূর্যের মতো একটি সূর্যের চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে।  পৃথিবীর কাছাকাছি এমন আরেকটি পৃথিবী যে রয়েছে তা জানিয়েছে সর্বপ্রথম "নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ "। তবে এটির কোনো শক্তিশালী প্রমান মেলেনি বিজ্ঞানীদের কাছে।  তবে এবার প্রমাণ দিয়েছে, " গটিনজেনের ম্যাক্স প্লাংক ইন্সটিটিউট ফর সোলার সিস্টেম রিসার্চ।  তারা জানিয়েছে, সূর্যের মতো যে নক্ষত্র টি রয়েছে তার তাপমাত্রা আমাদের পৃথিবীর সূর্যের চেয়ে ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। যেখানে আমাদের সূর্যের তাপমাত্রা ৫২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  বিজ্ঞানী এর নাম দিয়েছে, "কেপলার ১৬০ "  নতুন এই পৃথিবীতে নাকি বেশি শীত ও না, বেশি গরম ও না। তবে এতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না তা জানা যায়নি।  মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে এটা 'লাল বামন তারা'  ২০২০ সালে, নাসার ট্রানসিটিং এক্সপ্ল্যানেট সার্ভ স্যাটেলাইটের লেন্সের ধারা পড়ে। পৃথিবীর এ যমজ গ্রহের নাম দেওয়া হয়েছে, " TOI 700 D "  গত কয়েক বছর এই সূর্যের চারপাশে ধরা পড়ে প্রায় ৫শতের বেশি গ্রহ...

জায়নামাজে ছবি থাকলে কি নামায হবে ???

Image
আমরা প্রায় দেখি জায়নামাজ কাবার ছবি,  মসজিদের ছবি, দরজা, জানালার ছবি কিংবা বিভিন্ন নকশার দৃশ্য এগুলো থাকা যুক্তিক মনে করেন আপনি!   জায়নামাযে এসব দৃশ্য নামাজি ব্যক্তির মনোযোগ শক্তি কেড়ে নেয় বা অন্যমনস্ক হয়ে যায়। এতে নামাজে ব্যাঘাত ঘটে। ওলামায় কেরাম বলেছেন এটা মাকরুহ বা অপছন্দনীয়।  এছাড়াও কাবার ছবিযুক্ত জায়নামাজায় অনেক সময় আমরা পা দিয়ে পদদলিত করি কিংবা বিছিয়ে বসি ইত্যাদি জায়েয নয়।  কেননা, এগুলো  দ্বারা কাবার অবমাননার পর্যায় পড়ে।    এর সত্যতা কতটুকু,  হিশাম ইবনে উরউয়ার বর্ণনার আছে,  নবী করিম (সঃ) বলেছেন, "আমি নামাযের দিকে তাকাচ্ছিলাম আর ভয় পেতেছিলাম, এ চাদর / জায়নাজ আমাকে গোনাহগার বানাবে " [ সহীহ বুখারীর ৩৮৩)   হযরত আনাস ( রা) বর্ণনা করেন, হজরত আয়েশা (রা) এর একটি পর্দা ছিল। তিনি তা দ্বারা তার ঘরের এক পাশ ঢেকে রেখেছিলেন। নবী করীম (সঃ) বললেন, " তোমার এ পর্দা আমার থেকে দূর কর। কেননা এর নকশাগুল নামাজের ভেতর বারবার আমার সামনে পড়ে। " [ সহীহ বুখারীর ৫৯৫৯)   সুতরাং পবিত্র কাবাসহ মসজিদের ছবিযুক্ত জায়নামাজ ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।  https://youtu.be/YXgpF2VEB8c